উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান তুলে বাংলাদেশ দলকে কিছুটা উদ্বেগের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। ২৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা; একটু রয়ে-সয়ে খেললেই তো ছুঁয়ে ফেলা যায়। শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল স্কটল্যান্ডের শুরুর সেই চোখ রাঙানিকে পরে পাত্তাই দেয়নি। আইসিসির সহযোগী সদস্য দলটির যুবাদের পেস-স্পিনে দিশেহারা করে এনেছেন ১১৫ রানের বিশাল জয়। নাজমুল হোসেনের শতক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ২৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে স্কটিশদের ইনিংস ৪৭.২ ওভারে শেষ ১৪২ রানেই। এই জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনারদের দাপট থাকলেও দারুণ বোলিং করেছেন পেসার সাইফউদ্দিন আহমেদ। মাত্র ১৭ রানে তিনি তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদও নিয়েছেন ৩ উইকেট, তবে তিনি দিয়েছেন ২৭ রান। এ ছাড়া আরিফুল ইসলাম ২টি আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ১টি উইকেট।
স্কটল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান আজিম দারের। তিনি একপ্রান্ত আগলে রেখে চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে কাজের কাজটি করতে পারেননি। তাঁর অর্ধশত রানের ইনিংসটির পাশাপাশি নিল ফ্ল্যাকের ২৮, জ্যাক ওয়ালারের ২৪ আর ররি জনস্টনের ২০ ছাড়া স্কটল্যান্ডের ইনিংসে বলা মতো কোনো স্কোরই নেই।
এদিকে সকালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে প্রাথমিক সাফল্য কিন্তু স্কটল্যান্ডই পেয়েছিল। দলীয় ১ রানেই পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে দিয়ে বড় কিছুর স্বপ্নই দেখছিল স্কটিশরা। কিন্তু নাজমুলের অনবদ্য এক শতকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবেই। ১১৭ রানে অপরাজিত থাকা নাজমুল আজ যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছেন। নাজমুলের যোগ্য সঙ্গী হয়েছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। তিনি ৪৮ বলে ৫১ রানের এক ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নিয়ে যান। এর আগে সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ৬ বলে ১৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২৫৬।