শনিবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনটিটিউট ব্রি’র মিলনায়তনে পাঁচদিনব্যাপী ব্রি’র ২৪তম ধান গবেষণা বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ ।
ব্রি’র মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.আবুল কালাম আযাদ, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. শাহজাহান কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী।
প্রধান অতিথি বলেন আগামী ২০৫০ সালে দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য চালের প্রয়োজন হবে ৪৪.৬ মেট্রিক টন। গত এক বছরে ব্রি’র ১৯টি গবেষণা বিভাগ ও নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণায়। ব্রি গত দুই বছরে ১১টি উফশী ধানের জাতসহ বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করেছে। উদ্ভাবিত এ জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা সহনশীল বোরো জাত ব্রি ধান৬১ ও ব্রি ধান৬৭, জিঙ্ক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২, ব্রি ধান৬৪, ব্রি ধান৭২ ও ব্রি ধান৭৪, ঐতিহ্যবাহী বালাম চালের অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং সরু বালাম নামে পরিচিত জাত ব্রি ধান৬৩, সরাসরি বপনযোগ্য আগাম আউশ ধানের জাত ব্রি ধান৬৫, খরা সহনশীল ও উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ বোরো জাত ব্রি ধান৬৬, বোরো মৌসুমের আদর্শ উফশী জাত ব্রি ধান৬৮ এবং কম খরচে আবাদযোগ্য উফশী জাত ব্রি ধান৬৯ । বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ ফলন দিতে সক্ষম ব্রি ধান২৯ এর সমপর্যায়ের গুণাগুণ সম্পন্ন ব্রি ধান৫৮ এবং আমন মৌসুমের জনপ্রিয় বিআর১১ এর সমতুল্য ব্রি ধান৪৯। তবে এটি ব্রি ধান২৯ এর চেয়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগাম। ব্রি বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত নয়টি লবণ-সহিষ্ণু, দু’টি জলমগ্নতা সহিষ্ণু, সাতটি খরা সহিষ্ণু, একটি খরা পরিহারকারী, দু’টি শীত সহনশীল এবং চারটি জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। ধানের গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য তারা ভিটামিন এ এবং আয়রন সমৃদ্ধ ধান উদ্ভাবনের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ব্রি উদ্ভাবিত সরু ও সুগন্ধযুক্ত বোরো মৌসুমের জাত ব্রি ধান৫০ বা বাংলামতি রফতানি সম্ভাবনাময়। ব্রি এ পর্যন্ত চারটি হাইব্রিডসহ ৭৭টি উফশী ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে তার মধ্যে বেশ ক’টি প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল এবং উন্নত পুষ্টি গুণ সম্পন্ন।
