ময়মনসিংহ থানারঘাট বস্তি এলাকার সন্ত্রাসীবাহিনীর একটি দল অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর,দোকানপাট প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়েছে।
এমন ঘটনাটি ঘটে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় কালিবাড়ি পুরাতন গুদারাঘাট মধ্য চরে দরিদ্র বসবাসকারী বস্তিবাসীদের উপর (একটি এজাহারকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তান্ডব) দীর্ঘদিন যাবৎ থানারঘাট বস্তি এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি সন্ত্রাসী টিম যাদের বয়স ৩০ এর উর্ধ্ধে নয়। এদের কাজ হলো এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করা। গত ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোছা: মনোয়ারা বেগমের বড় ছেলে সাদ্দাম এর উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়। এক মুহূর্তে সাদ্দাম কৌশলে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায় এবং প্রাণে রক্ষা পায়। সাদ্দামকে না পেয়ে অবশেষে সাদ্দাম এর বন্ধু সোহাগকে পেয়ে চাপাতি ও রামদা দিয়ে আঘাত করিলে সোহাগ মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ফলে বস্তিবাসী আঘাতপ্রাপ্ত সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। পরিশেষে গত ২ সেপ্টেম্বর সাদ্দাম এর মাতা মোছা: মনোয়ারা বেগম এমন নেক্কাজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালী মডেল থানায় একখানা এজাহার দায়ের করেন। এই এজাহার দায়ের সংবাদটি সস্ত্রাসী দলের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়িলে গত ৪ সেপ্টেম্বর পুরো থানারঘাট বস্তি এলাকায় প্রায় অর্ধ-শতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর করে সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে মনোয়ারা বেগমের দোকান ভাংচুর হয় । অজ্ঞাতনামা প্রায় ৩০ জন এই লংকাকান্ডের সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানান। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমন সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। উল্লেখ্য বস্তিবাসীদের নিরাপত্তার লক্ষে ইতিমধ্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো: কামরুল ইসলাম জানান- ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সস্ত্রাসীদের। মামলা হয়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে।