গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তার পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে অপারেশনের সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই হাসপাতালটি ভাংচুর করেছে। ২৫ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রসূতির নাম রীমা আক্তার (৩০)। সে শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাবো গ্রামের মুজিবুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের শ্বশুর ওসমান গণি জানায়, ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে রীমা আক্তারকে মাওনা চৌরাস্তার পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্জন ডা: মাহমুদুর রহমান শাহীন ওই সন্ধ্যায় প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রসূতি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। এদিকে, অপারেশনের সময় তার রক্তনালী কেটে ফেলায় রোগীর প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় ডাক্তার কাউকে না জানিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে। তিন ঘন্টা পরও রোগীকে বাইরে বের না করায় রোগীর লোকজনদের সন্দেহ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত অনিয়ন্ত্রিত রক্তক্ষরণের কথা বলে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার দুপুরে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।
পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক ডা: মাহমুদুর রহমান শাহীনের মুঠোফোন (০১৭১৭২২৯১৮৮) বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক জানান, ক্লিনিক ভাংচুরের খবর শুনে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।