পাকিস্তানকে কম রানে বেধে রেখে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার পথটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় ওয়ানডেতে আজহার আলির দলকে সহজেই ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। আগামী শুক্রবার হবে চতুর্থ ও শেষ ওয়ানডে।
মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ২০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৪১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ২৭ রানের ফিরে যান জেসন রয় ও আলেক্স হেলস। ৬০ রানের জুটিতে জো রুটের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক মর্গ্যান।
৬ রানের ব্যবধানে রুট (৩০) ও মর্গ্যানের (৩৫) বিদায়ে আবার চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। দারুণ এক জুটিতে ইংল্যান্ডকে পথ দেখান জেমস টেইলর ও জস বাটলার। ৯৩ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো দলটি ৯ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় তাদের দৃঢ়তায়।
৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন টেইলর। তার ৬৯ বলের ইনিংসটি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা সমৃদ্ধ। টেইলরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ১১৭ রানের জুটি উপহার দেওয়া বাটলার অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে।
এর আগে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান পাকিস্তানকে ভালো সূচনাই এনে দিয়েছিলেন। আজহার আলির ৩৬, বাবর আজমের ২২ আর মোহাম্মদ হাফিজের ৪৫ রানের সুবাদে এক সময়ে দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৩২ রান।
এরপরই দিক হারায় পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের রান আউট দলের বিপদ বাড়ায় আরও। এর আগে আজহারও ফিরেন রান আউট হয়ে।
দ্রুত ফিরে যান মোহাম্মদ ইফতেখার ও আনোয়ার আলি। শেষের দিকে ওয়াহাব রিয়াজের অপরাজিত ৩৩ রানে কোনোমতে দুইশ’ পার হয় পাকিস্তানের সংগ্রহ।
৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ক্রিস ওকস।