ফাইনালে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে

bagnladesh-lrg20160302165934

স্বাধীনতার মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও একটি জয় বাংলাদেশের। মিরপুরে শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ।

১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকে ভালো ব্যাট করলেও শেষ দিকে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন বারবারই মনে পড়ছিল ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালের কথা। মাত্র ২ রানে ওই ফাইনালে হেরে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীই কেঁদেছিল। এবারও একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি হয় কি না সে শঙ্কাতেই যখন কাঁপছিল মিরপুরের পুরো গ্যালারি, তখনই ত্রাতার ভূমিকা অবতীর্ণ হলেন মাশরাফি। আবারও একবার দেখা গেলো মাশরাফি শো এবং তার ৭ বলে ১২ রান, অথচ অতি প্রয়োজনীয় এবং দুর্দান্ত এক ইনিংসের ওপর ভর করে সেই অঘটনটাকে আর হতে দিলো না বাংলাদেশ। ৫ উইকেটের বীরোচিত এক জয় নিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে গেলো ফাইনলে।

বাংলাদেশের এই জয়ে বোলারদের অবদান যেমন ছিল, তেমনি অবদান ছিল সৌম্য সরকারের। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে তিনি শুধু জয়কেই সম্ভব করে তোলেননি, বাংলাদেশকে পৌঁছে দিলেন ঐতিহাসিক এক টুর্নামেন্টের ফাইনালে।

১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামলেও জুজুর ভয় ছিল যেন মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে। কিন্তু সনাথ জয়সুরিয়ার স্টাইলে ডিপ স্টয়ারলেগ দিয়ে যখন তামিম ইকবাল আমিরকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন, তখন সেই জুজু কেটে যাওয়ারই কথা। তবে, আমির জুজু কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনা করলেও, সম্ভবত পাকিস্তানি অন্য পেসারদের মোকাবেলার ছক কাটা হয়নি। সুতরাং, দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোহাম্মদ ইরফান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারলেও চতুর্থ বলে পুরোপুরি পরাস্ত হন তামিম। ফলে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই এলবিডব্লিউ আউটের ঘোষণা দিয়ে তামিমকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন আম্পায়ার।

তবে তামিম ফিরে গেলেও দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন সাব্বির আর সৌম্য সরকার। দু’জনের ৩৩ রানের জুটির ওপর ভর করে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল জয়ের দিকেই। তবে ইনিংসের ৯ম ওভারে বোলিং করতে এসে আবারও পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রুক এনে দিলেন অধিনায়ক আফ্রিদি। ১৫ বলে ১৪ রান করা সাব্বিরকে বোল্ড করে ফেরত পাঠালেন তিনি।

তবে অপর ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাটে সাবলিলভাবেই জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জুটি বেধে পাকিস্তানি বোলার এবং ফিল্ডারদের ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। ৩৭ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ১২ রান করে মুশফিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন সাকিব। তবে ১৩ বলে ১৩ রান করে আমিরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনিও। তার আগেই অবশ্য মাত্র ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে আমিরের বলে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য সরকারও।

শেষ দিকে এসে মাহমুদুল্লাহর ১৫ বলে ২২ এবং মাশরাফির ৭ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪৮ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সৌম্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *